২১৫
Raju Ahmed Boni
সরকার হতভম্ব হয়ে গেছে।
ছাত্রদের আন্দোলন যে এতটা তীব্রতা পাবে তা আঁচ করতে পারেনি কেউ।
ছাত্রলীগ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পালিয়েছে।
সরকারের “ফার্স্ট লাইন অফ ডিফেন্স”
এবং
“ফার্স্ট লাইন অফ অ্যাটাক”– দুটোই ছাত্রলীগ!
প্রথম ডিফেন্স এবং অ্যাটাক লাইন ভেঙে পড়েছে।
আন্দোলনকারী ছাত্ররা এত মার খেয়েও যে মরণপণ যুদ্ধ
চালিয়ে যাবে তা কল্পনা করতে পারেনি সরকার।
নিশ্চয়ই সাধারণ ছাত্রছাত্রীরাই আন্দোলনের মূলশক্তি।
তবে সাথে আছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলির
পাশাপাশি ছাত্রদল এবং ছাত্র শিবিরও।
অদ্ভুত মনে হয় না?
কীভাবে সম্ভব হয়?
সম্ভব হয়েছে এই কারণে যে কেউ আলাদা এজেন্ডা নিয়ে নামেনি।
সবাই “কোটাসংস্কার” বিষয়েই নেমেছে।
আমরা জানতাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে
পুলিশ পূর্ণশক্তিতে সাপোর্ট না দিলে শিবির চার ঘণ্টার মধ্যে
ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাস ছাড়া করতে পারে।
চট্টগ্রামেও সেই একই অবস্থা।
কিন্তু জাহাঙ্গীরনগর আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি কীভাবে ঘটল?
অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই বা কীভাবে সম্ভব হলো?
সম্ভব হয়েছে ছাত্রলীগের হাতে বছরের পর বছর নির্যাতিত হতে হতে
এবার সর্বশক্তিতে ফুঁসে ওঠা শিক্ষার্থীদের পিছু না হটার প্রতিজ্ঞার কারণে।
এই আন্দোলনে সরকারের পতন হবে,
এমনটি কেউ ভাবছে না।
তাদের ডিফেন্স লাইনে আছে
#পুলিশ, #র্যাব, #বিজিবি,
আমলাতন্ত্র, অসৎ ব্যবসায়ীদের অঢেল টাকা
এবং
বশংবদ সাংবাদিক-সাহিত্যিক-সংস্কৃতিবাজের দল।
আছে ভারত।
তবে সরকারের জন্য এই পরিস্থিতি একটি চেতাবনি তো বটেই।
written by-
Zakir Talukder
Writer
&
Social Activities
Bangladesh