৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

“জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতা বিরোধী ছিলো না!”…গোলাম আজম।

কর্তৃক Raju Ahmed Boni

let’s i tell u a interesting story..

কবি কাজী নজরুল ইসলাম একদিন কথার প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “খোদার বক্ষে লাথি মার”!

এই কথা বলার পর সারা কুমিল্লা উত্তাল হয়ে গেলো। মাওলানারা তাকে কাফের ঘোষনা দিল, আরো বললঃ যে মানুষ খোদার বুকে লাথি মারতে পারে সেই বেয়াদবের জায়গা এই দেশে হবেনা।

কবিকে বলল এর জবাব দিতে হবে।

কবি বললেন, ঠিক আছে আমি জবাব দিবো।

আপনারা একটি সমাবেশের আয়োজন করেন।

হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হল।

কবি আসলেন, সবাই কবিকে বেইজ্জত করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করল।

কবি মঞ্চে উঠে শুধু দুইটি কথা বললেন,

তিনি বললেন, “খোদা নিরাকার। তাঁর বুকে কি লাথি মারা সম্ভব?  যে খোদার বুক আছে সেই খোদার বুকে লাথি মারতে বলেছি।”  কবি এই কথার দ্বারা দেব-দেবীকে বুঝিয়েছেন ৷ দুধ বিক্রি করে চা খাওয়া জনগণ আর জর্দা দিয়ে পান খাওয়া হুজুরদের বুঝ হয়ে গেলো। না বুঝে চিল্লাইয়া, এক কাপ চায়ের বিনিময়ে বিক্রি হয় হুজুগে বাঙ্গালীরা ৷

১৯৭১ এর যুদ্ধে জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধ করেনি। অস্ত্র হাতে নেয়নি। এই কারনে শুরু হয়ে গেল রাজাকার উপাধি! আজ 52 বছরেও কেউ জানতে চাইনি জামায়াতের বক্তব্যটি আসলে কি ছিল? কেউ জানতে চায়নি জামায়াতে ইসলাম কেন সেই দিন অস্ত্র হাতে নেয়নি? জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতা বিরোধী ছিলোনা। যুদ্ধের কৌশলের বিরোধী ছিলো। মরহুম গোলাম আজম সাহেব শেখ মুজিবকে বলেছিলেন, “পূর্ব আর পশ্চিম পাকিস্তান ভৌগলিক সীমারেখার যে পার্থক্য, এইভাবে কোন দেশ চলতে পারেনা। আমরা আজ না হয় কাল স্বাধীন হবোই হবো। দয়া করে আপনি Mrs.গান্ধীর ফাঁদে পা দিবেন না। শিয়ালের হাত থেকে আমাদের বাঘের হাতে জিম্মি করবেন না। কারণ শিয়াল হাটুর নীচে কামড়ায়, আর বাঘ মানুষের কলিজা খায়।”

শেখ মুজিব গোলাম আজম সাহেবকে তখন আস্বস্ত করলেন যে, ‘আপনি কোন চিন্তা করবেন না।’

শেখ সাহেব ৭ই মার্চ ভাষণের একদিন আগেও স্বাধীনতার ঘোষণার বিরুদ্ধে ছিলেন। কিন্তু কিছু বাংলাদেশী Mrs.গান্ধীর ভারাটে দালাল শেখ সাহেবকে জোর করে স্বাধীনতা ঘোষণা করাইলো। যদিও শেখ সাহেবের গোটা ভাষনে স্বাধীনতা ঘোষনার পক্ষে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই ৷ এই অগোছালো সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের কোন আলেম সমাজ মেনে নেয়নি। জামায়াতে ইসলামীও তাদের একটি অংশ। সাড়ে সাত কোটি মানুষের মধ্যে এক কোটি মানুষও এই স্বাধীনতা চায়নি!

আপনি আপনার এলাকায় যাচাই করুন কয়জন মুক্তিযোদ্ধা আছে? যুদ্ধ বেজে গেলো,পাকিস্তানিরা ভারতের উপর ক্ষেপে গিয়ে পাইকারী ভাবে হিন্দুদের হত্যা করা শুরু করে। ভারত সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। দেখা গেলো উভয় পক্ষে মুসলমান মরতেছে, মজা মারতেছে ভারত।

এরিই মধ্যে ভারত আবার পাকিস্তান বাহিনীর প্রধান নিয়াজীকে যুদ্ধে বিরতির প্রস্তার দিলো। নিয়াজী মেনে নিলো। যুদ্ধ বিরতি হয়ে গেলো ৯৩ হাজার সৈন্যের পরাজয়। এগুলো সবার জানা বিষয়।কিন্তু এই বাস্তব ইতিহাস আজ বিলুপ্ত। এই ইতিহাস আজ হাস্যকর। এই অপরাধে আজ জামায়াতের উপর রাজাকার ট্যাগ ও চক্ষুশুল কবি নজরুলের কথার মতো বাঙ্গালিরা কিছুদিন পর বুঝতে শুরু করে জামায়াতে ইসলামীর ভাষা।

স্বাধীনের পর যখন ভারতীয় সৈন্যদল বাংলাদেশের সব জিনিষ লুট করে নিয়ে যাচ্ছে তখন সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিল অস্ত্র উচিয়ে বলেছিলেন-”আমাদের আরো একটি মুক্তিযুদ্ধের দরকার।”

স্বাধীনের পর শুরু হল ভারতের যুদ্ধের বিনিময়। নয় মাস আগে শেখ সাহেবের সাথে কথা বলতে Mrs.গান্ধীর বুক কাঁপত। সেই Mrs.গান্ধী শেখ সাহেবকে ২৫ বছরের গোলামী চুক্তি করাইলো। এখনো জাতি জানেনা, এই গোলামী চুক্তিতে আসলে কী লিখা ছিল? সেখানে ছিলো শেখ সাহেবকে Mrs.গান্ধী বলল-” ফারাক্কা বাঁধটি একটু খুলে দাও’ শুধু পানির কিউচেক পরীক্ষা করার জন্য। ৭ দিন পর আবার বন্ধ করে ফেলবো।” কিন্তু আজ ৫৫ বছর হয়ে গেলো, এখনও সেই ৭দিন শেষ হলো না। হঠাৎ আমরা হয়ে গেলাম এক হিন্দু রাজার গোলাম। এই গোলামীর বোঝা বহন করে’ এখনও চলছি। 52 বছর পূর্বে বুঝেছিলো, সেটা আমরা আজ বুঝতেছি!

অনেক মুক্তিযোদ্ধা যখন বলেন,যদি এমন জানতাম স্বাধীনতা যুদ্ধ করতাম না। তা হলে এখন প্রমাণিত হলঃ- ৭১ সালে জামায়াতে ইসলামীর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিলো। আজ ন্যায্যমুল্যে কিনা স্বাধীনতা ‘বিনামুল্যে’ ভোগ করছে ভারত।  যে বাঙ্গালী যেমন চিন্তা না করে কবি নজরুলকে কাফের ডাকল। সেই বাঙ্গালী না বুঝে জামায়াতে ইসলামীকে রাজাকার ডাকা শুরু করল এবং তাদের সাথে যোগ দিলো কিছু ফতোয়া বাজরা

Written By
রাজু আহমেদ বনি
চীফ এডিটর

আস্থা লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানী লিমিটেড" (গাংনী শাখা, মেহেরপুর।) Hotline --01532232681

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.