৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

মাই মিডিয়াস ডায়েরি! (সমকাল পর্ব-২য়)

কর্তৃক Raju Ahmed Boni
মেগা সিটির আষাঢ়ে ভর দুপুর।
মাহবুব ভাই
(#Mahbub_Aziz
দৈনিক সমকাল,
ফরমার ফিচার এডিটর)
ডাকলেন
গোলাম সরওয়ার
এডিটরস রুমে।
সৈয়দ সাহেব
(রাষ্ট্র চিন্তক
সৈয়দ আবুল মকসুদ
বসে আছেন কড়া মেজাজে! বোঝা যাচ্ছে
মুখের পোট্রেট দেখে।
সাদা কাফনের কাপড় পরা!
(উনি আমৃত্যু এই একই “ড্রেস কোড” ইউজ
করেছেন! কেন করেছেন, আল্লা মালুম!)
বাঙলার ইতিহাসে এটা একটা সিরিয়াস ইতিহাস!
যা কেউ জানতেন না এমনকি পরিবারের কেউও নন!
তবে আমি যে দুবার সৈয়দ সাহেবের ধানমন্ডির বাসা
“সেসনস্”
( কালের খেয়া’র ইন্টারভিউ জন্য)
কাটিয়েছি,
উনার কথা বলার ঢং দেখে একবারও
“ড্রেস কোড”
সম্পর্কে প্রশ্ন করার হিম্মত হয় নাই!)
তো,আপন দর্পণের ইন্টারভিউতে
কালের খেয়ার যে গৎবাধা প্রশ্ন তা থেকে বের হয়ে
আমি টোটাল টাইম উনার পিএইচডি থিসিস
সৈয়দ ওয়ালীউল্লার
“সাহিত্য সাধনা ও বাঙালি মুসলমানের ধর্ম চিন্তা”
এই সম্পর্কে দীর্ঘ সময় আলাপ করে ছিলাম।
যা সমকালের সাহিত্য পাতায় ছিটেফোঁটা এসেছে!
( আমি জানতাম এডিট করবে মাহবুব আজিজ!
তাই বাকিটা আমাদের লিটল ম্যাগ “বিনির্মান” জন্য রেখেছিলাম!
যা আজও আছে!
আমাদের “থ্রী মাস্কেটিয়ার্স”
সালমান তারেক শাকিল
মনোজিৎ মিত্র
এবং
আমি
রাজু আহমেদ বনি’র
একমাত্র প্রথম ব্যার্থতা (২০০৯-২০১৫) ভিতরে
#নীল_ঘুড়ি‘র প্রথম প্রজেক্ট
(লিটল ম্যাগ) টা পাবলিস্ড করতে
পারি নাই। প্রথমে ফাইনান্স প্রবলেম ছিলো।
তারপর, কাজের ব্যাস্ততা!)
তো,
সৈয়দ সাহেব “কালের খেয়া”র কপিসহ অফিসে এসে হুলুস্থুল অবস্থার সৃষ্টি করেছেন।
মাহবুব ভাই শামীম ভাইকে
( কবি আহমাদ শামীম
কালের খেয়ার সাব এডিটর) ডাকলেন,
এডিটর সাব ( প্রয়াত গোলাম সরওয়ার) ফোলা লাল চোখে
তাকিয়ে আছেন আমার দিকে!
(যেন এক্ষনি “এক পেগ”
‘র’ মারবেন!)
বলার কিছু নেই আমার চেয়ারে বসার সাহসও নেই। পাশের রুম থেকে এসোসিয়েট এডিটর
আবু সাইদ খান
এসে মিটিং ভাঙলেন।
আমাকে বাইরে দিয়ে যেতে
আর সম্পূর্ণ ইন্টারভিউ কপি মাহবুব ভাইকে দিতে বললেন।
আমি হাফ ছেড়ে বাচলাম।
তবে মজার বিষয় হচ্ছে সেই ইন্টারভিউ আজও আনপাবলিশড!
(যা Virtual Journal. BD ‘এ
পাবলিস্ড করা হবে।)
আমরা সবাই বর্তমানে বিশ্বাসী অতীত ভুলে যায়।
কিন্তু কিছু কিছু অতীত ইতিহাস সৃষ্টি করে!
সৈয়দ আবুল মকসুদ তৎকালীন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ও তার পার্টি আওয়ামী লীগ সরকার ও মত্রীদের সম্পর্কে
যে সব “গ্রেনেট-বোমা আর মিসাইল”
বলেছিলেন তা আমি ২০১৪ ও ১৮ জাতীয় নির্বাচনে মিলিয়ে নিয়েছিলাম!
কথা সত্য!
স্বুরিদের পাতায় ধুমায়ে লিখছি!
আবেদ ভাই আরও সহজ করে দিলেন
সব ফিচার পাতায় লেখার জন্য।
যাতে পুবালী ব্যাংকে আমার নামে
“লেখক সন্মানি” টার পকেটে মানি অন্তত
গার্লফ্রেন্ড (#Nora_Mehzad)
কে নিয়ে
ডেটিং টা “#পিৎজা_হাটে” অসাম হয়!
আবেদ ভাই
আমি চুজ করলাম এডিটরস পেজের
“ওপেন থট” বা “মুক্ত চিন্তা”।
২০১১-১২ অর্থ বছরের ” ঢাউস ফ্যাটি” বাজেট দিলেন
আবুল মাল আব্দুল মুহিত!
অর্থ মন্ত্রীর এই “লাখে রাজ”কোটি টাকার
বাজেট নিয়ে মিডিয়া পাড়ার তুমুল জোয়ার!
সিনিয়র সাব,
ইমপর্টেন্ট মন্ত্রী,
অর্থ মন্ত্রীকে তুমি “মাল বাবু” সম্মোধন করে নোট করছো
আবার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য এবং
দেশের উন্নয়নের যেসব প্রজেক্ট তা দরকার কি না তা তুমি বলার কে!?”
(টোটাল লেখা টা
ফারুক ওয়াসিফের
সে সময়ের লেখায় ইন্সপায়ার্ড হয়ে লেখা!)
বাকেটে ফেললেন কপিটা।
আর আমিও তুলি নাই!
হয়তো লেখায় যা “মাল- মসলা” ছিলো তা সমকালের সাথে যাচ্ছে না!
(তখনও কিন্তু টাইমস মিডিয়ার
ওনার বিজ. ম্যাগনেট.এ. কে. আজাদ
আওয়ামী লীগের এম. পি হওয়ার বাসনা করেন নি!)
তো, এক অঘ্রায়নের বিকেলে আবেদ ভাই পাঠালেন রেজা ভাইয়ের
( #জাহিদ_রেজা_নুর,
ফরমার,ফিচার এডিটর, প্রথম আলো)
কাছে। “প্যাকেজ”
( #অক্সফামের কোনো এক
পেপাস হবে প্রবাবলি!)
ড্রপ করে বসালেন ডেস্কে।
“কি করছি প্রশ্ন করলেন।
পড়াশোনা আর হোম ডিস্ট্রিক্ট। এসব।
বিদায় বেলায় একটা কথা বললেন
“রাজু এমনই থেকো। এখন যেমন। “
আজও এ কথাটা বাজে!
পরদিন ফারুক ওয়াসিফ ভাইয়ের
(#Faruk_Wasif)
সাথে দেখা করলাম। নীলখেত থেকে কেনা
উনার সাইন করা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের
এড্রেসে “#রাশিয়ান_ফোক_টেল”
বইটা দিতে!
ক্যান্টিনের সমুচা খাওয়ালেন।
বইটা ফেরত দিলাম।
বন্ধুসভার ডেস্কে রওশন ভাইকে ঘিরে
ঢা.বি. “আলোকবর্তিকা” নিয়ে!
প্রথম আলোতেও “ঢু”
মেরেছিলাম!
সুবিধা করতে পারলাম না।
শুধুমাত্র রওশন ভাইয়ের নাম বলে
কর্পোরেট অফিসের ১ম ফ্লোরে লান্স
ভাত,ডাল আর লাবড়া।
লাবড়া মানে এখনকার বিখ্যাত নাজলা আপুর
“এনস্ কিচেনের”
লাবড়া নয়!
অন্য স্বাদের!
তবে, #রস+আলো’র
বি.স. সিমু ভাইকে
পেলাম!
যিনি আমার “সেন্স অব হিউমার” কে
একটু ঝালিয়ে দিলেন “স্যাটায়ার” স্টাইলে!
আর,
আলিয়ান্স ফ্রান্সিসজ দো ঢাকা’তে
(#Aliance_Francis_de_Dhaka)
আমার প্রতি জুম্মাবার
ফিল্ম শো
এবং
“লা গ্যালারীতে” আর্ট এক্সিবিশন!
সাথে ক্লাব স্যান্ডুইচ ও বিয়ার (নন এল্কো:)
খারাপ লাগতো না!
এই ছিলো আমার এন্টারটেইনমেন্ট!
তখনও স্টীল ভার্জিণ!
“সেক্সিজম”
শুধু একান্ত আমার আমারই!
To be Continued..

আস্থা লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানী লিমিটেড" (গাংনী শাখা, মেহেরপুর।) Hotline --01532232681

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.