২৪৯
কোনো কোনো বন্ধু সম্পর্কে লিখলে একটু
বেশিই লেখা হবে।
এই যেমন আমাদের “টপার জেনান”!
একটা স্টুডেন্ট কিভাবে যে একটানা
‘ফাস্ট বয়ই’ হয়েই যে মাধ্যমিক শেষ করতে
পারে, সেই ইতিহাস আজও আমার কাছে
‘মোনালিসার হাসির’ মতো রহস্য!
“ফুলকুড়ি শিশু শিক্ষালয়”
থেকে
“গাংনী পাইলট হাইস্কুল”
তারপর যশোর বিএফ শাহীন
গ্রাজুয়েশন ঢাকার “আহসান উল্লাহ সাইন্স এন্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি” থেকে।
আর আমরা যে যার মতো গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি অথবা করি নাই!
তো,
স্টুডেন্ট লাইফটাতে টোটালি আমাদের ফ্রেন্ডশীপের বন্ডিংটা স্ট্রং ছিলো।
প্রশ্ন উঠলো কর্ম যৌবনে এসে!
“স্ট্যাটাস ও ফাইনান্স” মেজর ইস্যু হয়ে যায়।
হাজার এগারো সালটা গেছে আমার একটা
“কবিতা বা গল্প লেখার লড়াইয়ে!”
“শশী, রুলিয়া ও বর্ণা আপুর ক্যারেক্টারগুলো
রিডিং রুমে সাজিয়ে।”
সমকালের তেজগাঁ অফিসের পাশেই জেনানের ক্যাম্পাস।
কতোবার যে ওকে না বলে
‘থ্রী ইডিয়েটস্’এর মতো
ডিপার্টমেন্ট টু ডিপার্টমেন্ট ঢু মারতাম!…
আমার ওয়ার্ল্ড
বা
ইউল্যাবের চেয়ে বেটার ক্যাম্পাস ছিলো
আহসান উল্লাহর!
মনে আছে “ফিল্ম ফেস্টে”র কথা..
“এক টিকিটে একশো ছবি”…
এরপর কয়েক “
রোদনভরা বসন্ত
কতোগুলো ঈদ
আমার গাল্ফ ট্যুর
গোটা কতেক গপ্পো
নোটবুক জুড়ে শশী কাব্য
আর
মহাকাব্য মেহজাদকে নিয়ে!”
এর মাঝে “শাম্মার যুগ- জামানা
জেনানের সাথে!”
ভাটা পড়ে আমাদের অপ্রাসঙ্গীক আড্ডাগুলো।
মনে রাখার মতো আমাদের ফ্রেন্ডশীপে
কিছু নেই।
রক্ত দিয়ে কেউ কারো জান বাঁচায়নি।
হেল্প করি নাই ইতিহাস লেখার
মতো।
তারপরও
” একটাই কথা আছে বাংলাতে…
….বন্ধু আমার!…”
আসলে ভালো থাকাগুলো নিজেদের
মতো করে।
ওয়াল্টন কর্পোরেট অফিসের হিমঘরে
আর “টেপা-টেপিকে” নিয়ে ভালোবাসার সংসার!
আর ব্যক্তিগত সুখ আমার কইন্যা ও কইন্যার মারে নিয়ে “দেশ – সমাজ ও ফ্যামিলীকে চেঞ্জ” করার লড়াইে!
আপাতত,
জেনানের জন্মদিনের শুভেচ্ছা!
হাজার বার ইচ্ছে হইছে ওর পছন্দের
“রেড ভেলভেট সাথে ওয়াইন”
নিয়ে সারপ্রাইজ দিয়ে উইশ করা,
শালার সময় সুযোগ হইলোই না!