১৮৫
স্টান্টবাজী করে হিরো সাজা যায়,রাষ্ট্র পরিচালনা করা যায় না।
আপনারা এখনো বের করতে পারেন নাই
১৭ জুলাই থেকে ৪ আগষ্ট পর্যন্ত
রায়েরবাজার কবরস্থানে কবর দেয়া ৮৭টি বেওয়ারিশ লাশ কাদের।
১৬ জুলাই থেকে ২৩শে জুলাই স্নাইপারের গুলিতে
নিহত ৪৪ জন মানুষ হত্যার সাথে কারা জড়িত
সেসবের বিস্তারিত বারবার প্রকাশ করার পরও
এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
সম্প্রতি গাজী টায়ার কারখানায় কতজন নিহত হয়েছেন
সে তথ্যও যেন একপ্রকারের ধামাচাপা দেয়ার প্রয়াস চলছে।
যে দেশ সাধারণত ৩৩০ জন জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে পরিচালিত
(যার মধ্য হতে ৩৫-৫০ জন এক্সিকিউটিভ বা উপ/প্রতি/মন্ত্রী) হয়ে থাকে,
সে দেশ এখন চলছে মাত্র ১৭-২০ জন মানুষের মাধ্যমে।
ক্ষমতারপালা বদলের ফলে যেন একরকমের উইচহান্ট চলছে।
চাঁদাবাজি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, মিডিয়া লেলিয়ে প্রতিপক্ষ ঘায়েল — এসবই চলছে পূর্ণ দমে।
দেশের পুলিশ এখনো অনেক ক্ষেত্রেই স্থবির।
পরিচিত অনেকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আর উচ্ছাস আমাকে বরং আরো শংকিত করছে,
কারণ পেছনের ক্ষতটা ভয়াবহ
এবং সেই ক্ষতের চিকিৎসায় আমরা এখনো কোন শক্ত পদক্ষেপই নেই নি।
ডজনের পর ডজন মামলা দেখছি বিভিন্ন ব্যক্তি বিশেষের নামে
কিন্তু সরাসরি হত্যাযজ্ঞের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের টিকির সন্ধানও যেন পাওয়া যাচ্ছেনা।
১৬ বছর আগে সংঘটিত বিডিআর হত্যার নেপথ্য রুপকার কারা,
তাদের নাম এখনো সামনে আসছেনা।
আমরা এখনো ধৈর্য্যের সাথেই সব যথাযথ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হবে এমনটাই আশা করেছি,
কিন্তু সে আশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তেমন নিয়োগ এখনো দেখছিনা।
এ পর্যন্ত যত নিয়োগ হয়েছে সেসব কাদের পরামর্শে হয়েছে
বা কিসের ভিত্তিতে হয়েছে তা এখনো পর্যন্ত জনগনকে জানানো হয়নি।
এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় এখনো কমপক্ষে হলেও
আরো ২৫-৩০জন দক্ষ এক্সিকিউটিভ প্রয়োজন — লেখনি আর কথনে পটিয়সী
হলেই দেশ চালানো যায়না,
দেশ চালাতে হলে প্রয়োজন সুপরিকল্পিত কর্মপদ্ধতি,
কৌশল এবং দক্ষতা।
স্টান্টবাজী করে হিরো সাজা যায়,
রাষ্ট্র পরিচালনা করা যায়না।
written by
Zulkarnain Saer
Freelance Journalist
Bangladesh