৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

“ফাইভস্টার হোটেল ও নাড়ীর রক্ত!”- রেং ইয়ং ম্রো

কর্তৃক Raju Ahmed Boni
Raju Ahmed Boni
“ফাইভস্টার হোটেল ও নাড়ীর রক্ত!”
-বরেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।
স্বপ্ন আমাদের খুব ছোট,
জীবন ও চাওয়া-চাওয়া সব ওই পাহাড়টাকে ঘিরে।
দুইমুঠো ভাত আর বুনো শাক
এইটুকুই আমাদের পরম পাওয়া
এইটুকুতেই আমরা তুষ্ট।
….
কিন্তু এই অরণ্য আমাদের চাই,
এই পাহাড়টা আমাদের চাই;
সেই অরণ্যে দাপিয়ে বেড়াবার
সেই পাহাড়ে ফসল ফলাবার
অধিকার আমাদের চাই।
অরণ্যের সবুজের প্রলেপ
ঝিরি-ঝর্ণার গান , বনফুলের মালা
পাখির ডাক, ভোরের সিগ্ধতা
সাঁজের মায়া, জোছনায় অবগাহন,
ওই আকাশের তারা
আর নীলিমার নীল আমাদের চাই।
সেখানে পূর্ণিমারাতে,
চু পানে আর বাঁশি –ঢোলের তালে
জীবনের ছন্দ খুঁজে নিতে চাই।
তোমাদের ওই ফাইভ স্টারের ঝর্ণা আমার চাইনা,
দেখো, এখানে পাহাড় ফুঁড়ে ঝরে পড়ে পাহাড়ি ঝর্ণা!
তোমার হোটেলের ঝাড়বাতির ওই ঝলমলে আলো
আলোকিত করেনা আমার এই নির্মল হৃদয়
এই হৃদয় যে ছুঁয়েছে জোছনার আলো!
তুমি আমার কেড়ে নিতে চাও এই ভূমি!
তুমি আমার কেড়ে নিতে চাও এই পাহাড়,
ভেঙ্গে দিয়ে আমার ঘর-বাড়ি!
গড়াতে ওই ফাইভস্টার বাড়ি!
তবে জেনে রেখো,
এইখানে পড়েছে আমার নাড়ীর রক্ত,
এইখানে পড়েছে আমার শৈশবের পায়ের দাগ,
পিতা-মাতা, প্রপিতা-মাতা ও পূর্ব পুরুষের পদচিনহ ।
আমার জীবন-স্বপ্ন অতীত-ভবিতব্য
সবই এই ভূমিকে ঘিরে, এই পাহাড়কে ঘিরে।
সব তুমি কেড়ে নিতে চাও, সব তুমি মুছে দিতে চাও?
তবে এসো আমার বুকের রক্তে স্নান করো,
তৃপ্ত করো তোমার লালসা ও ওই!
“নীলগিরি কোনদিন আমাদের নাম ছিল না,
চন্দ্রপাহাড় কোনদিন আমরা চিনি না।
আমরা ‘শোং নাম হুং’ নামে চিনেছি,
আমরা ‘তেংপ্লং চূট’ নামে চিনেছি।
এই ‘শোং নাম হুং’ কিভাবে চন্দ্রপাহাড় হয়ে যায়?
এই ‘তেংপ্লং চূট’ কিভাবে নীলগিরি হয়ে যায়?
এই জীবন নগর কিভাবে তোমাদের জীবন নগর হয়ে যায়?
এই ভূমি, এই মাটির প্রত্যেকটা ইঞ্চি আমাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি।
এই চিম্বুক পাহাড়ে একটাও প্রাইমারি স্কুল নেই,
একটাও সরকারি হাই-স্কুল নেই।
কোন মুখে আপনারা এখানে উন্নয়নের কথা বলেন,
কোন মুখে বলেন আমরা ম্রোদের জন্য উন্নয়ন করছি,
ম্রোদের উন্নতির জন্য পর্যটন করছি।
আপনাদের ভিটেমাটিতে যদি কোন ম্রো জনগোষ্ঠী গিয়ে জায়গা দখল করে,
আপনাদের জায়গায় গিয়ে যদি আমরা বলতাম – এটা আমদের পর্যটন স্পট,
আপনাদের কেমন লাগত একবার নিজের বুকে হাত রেখে প্রশ্ন করুন।
যেদিন আপনারা এ প্রশ্নের জবাব খুঁজে পাবেন,
সেদিন আমাদের প্রশ্নও বুঝতে পারবেন। “
#রেং_ইয়ং_ম্রো
সাধারণ সম্পাদক,
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ
ঢাকা মহানগর শাখা।
#পার্বত্য_চট্টগ্রাম

আস্থা লাইফ ইন্সুইরেন্স কোম্পানী লিমিটেড" (গাংনী শাখা, মেহেরপুর।) Hotline --01532232681

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন


The reCAPTCHA verification period has expired. Please reload the page.