২৫৪
কালের কন্ঠে বেশি দিন টিকতে পারলাম না!
“কন্ট্রিবিউটর”দের ফাইনান্সের
কোনো অপশনই নাই!
শুধু মাত্র
মিলন ভাইয়ের
“টোকনে লান্স” ছাড়া!
এর মাঝেই আবেদ ভাই
যুগান্তরের “স্বজন সমাবেশ”
ছেড়ে সমকালে আসলেন
“সুৱীদ সমাবেশে”র মা-বাপ হয়ে!
(আবেদ ভাই সম্পর্কে একটা পর্ব লেখা যেতে পারে!
আমি মিডিয়া জগতে এমন ” অস্থির সময়ে “
একজন “ট্রেইনার টাইপ” সিনিয়র সাব এডিটর’কে
পেয়েছিলাম যিনি হাতে ধরে আমাকে “বোমা বানানো”
আই মিন ” বাংলা টাইপে ইন্ট্রো” লেখা শিখিয়েছেন!
বাকী সবকাদি’র ইতিহাস অন্য প্রসঙ্গে লিখবো!)
তো,
এর আগে থেকে “ছোট গল্প”
আর “কবিতা” লেখার লড়াই চলছে
“হাড্ডি খিজিরের এই খুনের শহরে!
প্রথমে নয়া দিগন্তের “প্রিয়জন”
পাতায় বেশ “ইনস্পিরেশন” টা পাইছি
ফারুক ভাইয়ের
কাছ থেকে!
( তবে পুরষ্কারের হাজার টাকার
বইগুলো
আজও পাইনি! কসম!)
নয়া দিগন্তের
“প্রিয়জন” পেজ থেকে যে গোটা পাঁচেক
ছোট- অনুগল্প পাবলিস্ড হয় তা
পড়ে হয়তো আমাকে “আবিষ্কার”
করেন “থ্রী মাস্কেটিয়ার্স” বস
সালমান তারেক শাকিল!
এরপরই আমার ঢাকা পর্ব শুরু!
২০০৯ সালের মাঝা মাঝি।
ততদিনে মাই পিএম শেখ হাসিনা
মসনদে!
“ফকরে- মঈনু” বিদায়!
আর
“বিডিআর – পিলখানা ট্রাজেডি”র
মহাকাব্য!
আবেদ ভাই আসাতে আমিসহ
মনোজিত,
রিমন, অভি,সেলিমসহ
ঢাকা কলেজের
একঝাক স্বপ্নবাজেরা ডাক পেলাম!
সপ্তাহে একবার মিট আপ।
আর
আবেদ ভাইয়ের “অসাম” সব আইডিয়া নিয়ে
পাতা ভরা লেখা!
মাসে মাসে হাজার খানেক টাকার চেক পাওয়া!
আর
রাতজাগা স্বপ্নগুলো প্রজাপতি হয়ে
ডানা মেলে
মাঝে
মাঝে
খোয়াবনামা!
#বর্ণা আপুর ডানা কাটা পরীটা ভর করে
#রুপার সাথে!
(জুলি
তখনোও অধরা যেন!)
আর
বাহাস করি ও শুনি
“আহমদ ছফার রাষ্ট্রসভায়”
রনি ভাইয়ের
“হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাসে মধ্যেবিত্ত বানিজ্য”
সলিমুল্লাহ খান
কিছু বলতেন না।
যা বলার
টিপু ভাই
কবি সাব-ই বলতেন!
আজিজের লোকে!
ততোদিনে তুমুল জোয়ার চলছে
আরিফ
(প্রয়াত আরিফুল ইসলাম)
ও
মল্লিক ভাইদের
ফরমার সভাপতি,
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন)
স্লোগানে..
“পাইপলাইনে মন্ত্রী যাবে তেল গ্যাস যাবে না!”
সাকি ভাইয়ের
দরাজ কন্ঠে
(মাওলানা ভাসানীর মতো)
“রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রনেত্রীর চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার”
কোনো ফায়দা হলো না গত চৌদ্দ বছরেও!
শুধু আমার আরিফ ভাইকেই হারালাম!
কি হারালাম তা “গ্যালাক্সি” ছাড়া কেউ বুঝবে না!
নীলা আপার কাছে এই শোক
সাত সমুদ্রের উচ্চতা ছাড়িয়ে যাবে!
আহা!
আহা!
আরিফ ভাই!
আহা!
তো,
ঠিকই গদিতে হাসিনা সরকার!
ফোর্থ টার্মে।
তৌফিক ই এলাহির (বীর উত্তম)
কুশপুত্তলিকা দাহ করার প্রতিবাদ কখনও
পেট্রো- বাংলায় পৌঁছেনি!
তবে কেন যে শাকিল আমাদের কনভিন্স করে
গণসংহতি আন্দোলনের পার্টি অফিসে
“পরিবর্তনের লড়াই”য়ে নিয়ে যেতেন
এখন কিছুটা আচ করি।
ফিরোজ ভাইকে
( Firoz Ahmed)
পেয়েছি বড় অবিভাবকের মতো।
মুর্শীদ ভাইও
বলতেন,
“শামলে থাকিস! “
লিমা আপুর
ফটোগ্রাফি
ও
গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিয়ে ব্যস্ততার মাঝে খোঁজ
“কি খবর কবি সাহেব!?”
(তখনও আমরা কিন্তু “সুবর্ণসভার”
“ঘাসফড়িং” এর মতো!)
নীলা আপুর কোলে তখনও নক্ষত্র আসেনি।
আরিফ ভাইও হননি তখন দূর আকাশের তাঁরা!
তো,
আমার এই লাইফটা চলছিলো বিন্দাস!
বাড়ি থেকে বাপধন টাকা দিচ্ছেন।
প্রাইভেট ভার্সিটির সেশান ফিস
আর খানাপিনার।
আমি গ্রান্ডস্টান্ডে বাংলাদেশের টেস্ট ম্যাচ দেখছি!
‘১১ সালের বিশ্বকাপ!
ওপেনিং কর্নসার্টের টিকেটের জন্য
রাত থেকে গুলশানের
ঢাকা ব্যংকের লাইনে!
আবার,
বইমেলায় হাঙ্গামা!
নয়ন ভাইয়ের
আলতাফ শাহনেওয়াজ)
প্রথম কবিতার বই
(রাত্রির অদ্ভুত নিমগাছ)
অস্কার জয়ী
এ আর রহমানের
(#AR_Rahman)
ঐতিহাসিক কর্নসার্টের টিকেট বিক্রি করে
উরা ধুরা বই কিনে ঐতিহ্যে বেস্ট সেলার
বুক করে দিলাম!
কিন্তু নয়ন ভাইকে জানতে দিইনি
বিশ কপি বই মাত্র তিন দিনেই কিনেছি নামে বে নামে!
তখন তিনি সমকাল কালেরখেয়ার এডিট করছেন।
আমি,
মেহেদী ভাই
(#mehdi_rashel)
মেহেদী রাসেলসহ
কয়েকজন এসিস্ট করছি।
ফিচার এডিটর
ইমিডিয়েট বস!
কবি মাহবুব আজিজ!
( #Mahbub_Aziz)
তখনও মাহবুব ভাই ভার্জিন!
মানে একটা কবিতার বইও প্রকাশ হয় নাই!
“ঠিক সন্ধার আগে”
অপেক্ষা করতে হলো আরও ঠিক কয় বছর যেন!
নোট:
শাহরিয়ার ভাইয়ের
(কবি আবু হাসান শাহরিয়ার)
সাথে আমার কোনো সুখ স্মৃতি নাই!
( এই কবি কাহিনিটা উহ্য থাকলো এখানে!
আমাদের ইন্টারভিউটা সময় করে
আমার
পাবলিস্ড করা হবে!)
এই মিসাইল কবিটার
জন্মদিনের শুভেচ্ছা এক’শো এক
লাল গোলাপ ছাড়া যুত সই হয় না!
তারপরও ফাইল ফটোতে যা পেলাম!
(বর বেশে আমাদের সার্কেলের
আর্লি ম্যারেজড বয়
(আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে সেই হাজার তের সালের
বিবাহটার এক একটা রাত দিনের ইতিহাস লেখা যাবে!
কোনো এক বিচিত্র কারনে আমি আগস্টে
মাথা ন্যাড়া করে ছিলাম!
যা সাকি ভাই
ও
আনু স্যার
কেউই পছন্দ করেন নাই!)
টু বি কন্টিনিউড…
#আখেরী_মকতুবাত-২০২৪