৩৮
মেহেরপুরের বিএনপি রাজনীতিতে কেন জুলফিকার আলি ভুট্টাে জরুরি? ( ২য় কিস্তি)
—————————————————————
বাংলাদেশের ইতিহাসে নব্বই দশকের শ্রেষ্ঠ ঘটনা স্বৈরাচারী এরশাদের পতন।
রাজনৈতিক দলগুলোর গণ আন্দোলন ও নূর হোসেনের রক্তে
এরশাদ সরকারের সিংহাসনচ্যুত হয় যার মূখ্য ভূমিকা পালন করে
তৎকালীন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে ছাত্রলীগ, বাম ঘরনার ছাত্র ইউনিয়ন ও মেনন- ইনুরা!
রাজধানী ঢাকায় ঘটা আন্দোলনের হাওয়া লাগে
আমাদের বৃহত্তর কুষ্টিয়া – মেহেরপুর এলাকায়!
সর্বহারা ও পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি একটিভ মুডে!
শ্রেনী সংগ্রামের ডাক দিতে থাকেন
কমরেড মনি সিং, বাঘা যতিন.. সহ আরও অনেক লাল বাহিনীদের দল।
সেই ডাকে সাড়া দেন তাগড়া – তরুণেরা।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জুলফিকার আলি ভুট্টাে তাদের মধ্যে অন্যতম।
বাবা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের গ্রাম সরকারের প্রতিনিধি
হওয়া সত্বেও এই টগবগে তরুণটাকে টেনেছে সমাজতন্ত্রের মূল মন্ত্রের আইডিওলজিতে!
পদ্মা- মেঘনা- যমুনার ঢেউ- স্রোত অনেক দূর গড়িয়েছে।
প্রথম বাংলাদেশী মহিলা প্রধানমন্ত্রী হয়ে বেগম খালেদা জিয়া
রাষ্ট্র গঠন করলেন ১৯৯১ তে।
তারপর শেখ হাসিনা মাথায় নেকাব বেধে বাংলার আলাভোলা
আম আদমিকে ধর্মের ঢোল পিটিয়ে নৌকার মাঝি হয়ে
গণভবনের কুরসিতে ১৯৯৬ সালে!
হাসিনা সরকারের আমলের শেষ দিকে
আমার এলাকার এমন একজন রাজনৈতিক কর্মী বিএনপিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে
যোগদান করলেন তুখোড় রাজনীতিবিধ জনাব জুলফিকার আলি ভুট্টাে।
হাওয়া ভবনে ম্যাডাম জিয়ার সাথে অনেক স্মৃতি আছে তার।
অফলাইনে বেশ কিছু স্মৃতি আমার সাথে শোনালেন তিনি।
…”আগামী নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনারা যে যে যার যার অবস্থান থেকে
জান- প্রান দিয়ে কাজ করুন।
এই নির্বাচন আমাদের জিততেই হবে, এট এনি কস্ট!”…
এবারের ইতিহাস টোটালি ডিফারেন্ট।
২০০১ সালের “ফ্রী এন্ড ফেয়ার” ইলেকশনে
চার দলীয় ঐক্য-জোট রেকর্ডের সাথে সংসদে
এক- তৃতীয়াংশ আসেন বিএনপি সরকার গঠন করে।
চলবে…
Raju Ahmed Boni
Chief Editor
Virtual Journal. BD