কোটাকে হতে হবে একধরণের রিপেয়ারিং সিস্টেম। সবাইকে যখন আপনি এক কাতারে আনতে চাইবেন একটা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে, তখন অনেকেই শুরু করবে পিছন থেকে। এই পিছুপড়া মানুষজনকে সোশ্যাল ট্রিটমেন্ট দিয়ে কয়েক কদম আগায়ে দেওয়ার জন্যই কোটার প্রচলন।
কিন্তু আপনি যখন হুটহাট চেতনার কথা বলে কারো অযাচিত স্পিড বাড়িয়ে দিয়ে তাকে মাস্ট-উইনার বানিয়ে দিবেন, তখন সেটা একধরণের প্রীতি। “আদিবাসি কোটা” নিয়ে আলাপ দিতে হবে, “নারী”কে নিয়ে আলাপ দিতে হবে। কিন্তু আপনাকে ভাবতে হবে, যে আদিবাসি-শিক্ষার্থী একবার কোটা দিয়ে ঢাকার বড়-বড় ইশকুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে পড়ে ফেলেছে, তার আর কোটার আদৌ দরকার আছে কিনা!
ঢাকায় উচ্চবিত্ত পরিবারে বড় হওয়া নারীটার কোটার আদৌ দরকার আছে কিনা। আপনার এমন সুবিধা-দেওয়া জারি থাকলে, শহরের নারীটার কাছে গ্রামের নারীটা হেরে যাবে। নটরডেম-ঢাবি থেকে পাশ করা আদিবাসিটার কাছে প্রত্যন্তঅঞ্চলের আদিবাসিটা হেরে যাবে। সাধারণ নিম্নবিত্তরা হারবেতো মাস্ট। আপনার রিপেয়ারিং সিস্টেমটা তখন ফেইল করে যাবে।
“মুক্তিযোদ্ধা কোটা” নিয়েও একই আলাপ। আপনি যখন তাদের পরিবারকে মাসিক ভাতা দিচ্ছেন, তখন সে অল্রেডি সাধারণ নিম্নবিত্ত একটা পরিবার থেকে এগিয়ে গেল, আপনার রিপেয়ারিং এখানেই শেষ। তার বাদে এমন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারও আছে, যাদের এই ভাতারও দরকার ছিল না। তারপরেও আপনি তাকে এইটুকু দিয়ে ট্র্যাকে তোলার আগেই স্ট্রং করে দিচ্ছেন; তাতেও যদি আপনার না হয়, রেইসের ট্র্যাকেও তাকে আপনি দুয়েক কদম আগায়ে দেন, তাইলে সেটা প্রকাশ্য বৈষম্য।্যাকে তোলার আগেই স্ট্রং করে দিচ্ছেন; তাতেও যদি আপনার না হয়, রেইসের ট্র্যাকেও তাকে আপনি দুয়েক কদম আগায়ে দেন, তাইলে সেটা প্রকাশ্য বৈষম্য।
#QuotaReform, #শাহবাগ #কোটাআন্দোলন