১৬৮
অনুমান বেশি করা ঠিক নয়।
হুমায়ুন আজাদ এখন বেঁচে থাকলে
কী করতেন তা বলা যায় না।
তিনি সবচেয়ে সৃষ্টিশীল এবং সক্রিয় ছিলেন
এরশাদ এবং খালেদা জিয়ার আমলে!
আমাদের চিন্তাও তখন দ্ব্যর্থহীন
স্বৈরাচার এবং প্রো-মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে।
বাংলাদেশের লেখক-বুদ্ধিজীবীদের জন্য
গত 12-14 বছর ধরে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময় যাচ্ছে।
দেশের স্বার্থ নাকি শুধু আওয়ামী লীগের স্বার্থ?
সিংহভাগ লেখক, কবি, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক,
নাট্যকর্মী, সংস্কৃতিকর্মী, চিত্রশিল্পী, অভিনয়শিল্পী,
এমনকি লিটল ম্যাগ কর্মীরাও ফেইল করেছেন দেশপ্রেম,
জাতীয় স্বার্থ এবং গণতন্ত্রের পরীক্ষায়।
সুন্দরবনের জন্য হুমকি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র,
পাঠ্যপুস্তকে সাম্প্রদায়িকতার মতো বিষয়েও
তারা সরকারের ভূমিকাকেই সমর্থন করেছেন।
এই কঠিনতম এবং চরম বিভ্রান্তির সময়ের পরীক্ষা হুমায়ুন আজাদ
অথবা
সমসাময়িক সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদেরকে দিতে হচ্ছে না!