২১৪
Raju Ahmed Boni
ছাত্রদের এই প্রতিবাদ অর্থনৈতিক হতাশা থেকে উদ্ভূত—
উচ্চ বেকারত্ব,
মূল্যস্ফীতি সমুন্নত মজুরি হ্রাস,
উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি,
নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামের বৃদ্ধি,
সঞ্চয়ের অবক্ষয়
এবং
তরুণ প্রজন্মের সার্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা।
কোটা সংস্কারের আহ্বান আমার মতে কেবলমাত্র “টিপ অফ দি আইসবার্গ।”
অধিকাংশ গ্র্যাজুয়েট উচ্চ বেতনযুক্ত চাকরি পায় না
যা তাদের আর্থিক নিরাপত্তা এবং মর্যাদা দেয়।
এই অর্থনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য প্রয়োজন
বড় ধরনের সংস্কার: ব্যাংকিং খাতকে স্থিতিশীল করা
(দুর্নীতিগ্রস্ত লুণ্ঠনকারীদের বিচারের আওতায় আনা),
মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা
(নিত্যপণ্যের সাপ্লাই চেইন কঠোরভাবে সংস্কার করা –
সিন্ডিকেটেড নিয়ন্ত্রণ প্রধান চ্যালেঞ্জ),
ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশী টাকার মূল্য স্থিতিশীল রাখা
(যাতে আমদানি খরচ কমিয়ে আনা যায়
এবং নিত্যপণ্যের লাগামহীন দাম বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা যায়),
স্টার্টআপ খাতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যাপক বিনিয়োগ করা –
মর্যাদাসম্পন্ন চাকরি সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই,
পুঁজিবাজার সংস্কার – তরুণ প্রজন্মের জন্য আর্থিক খাতে
বিনিয়োগযোগ্য স্থান নিশ্চিতকরণ।
বাংলাদেশের যুব সম্প্রদায় জনসংখ্যার ৮৫% (৩৫ বছর বয়সের নিচে),
তাদের আর্থিক নিরাপত্তা
এবং
মর্যাদার ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে মাত্রায় সহিংসতা ঘটছে,
তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক
এবং
আমাদের রাজনৈতিক সংলাপের অনুপস্থিতির একটি জাগ্রত উদাহরণ।
ভিন্নমত সহ্য করার মানসিকতা ধারণ করতে হবে,
তা যতই ভিন্ন হোক না কেন।
সব মতামতের প্রতি সম্মান
এবং সহনশীলতা একটি গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি।
একটি সভ্য সমাজে,
সহিংসতার কোনো স্থান থাকতে পারে না।
written by-
Dr.Saim Amir Faisal
Senior Vice-Chairman,
Zaker Party
Economist
Infinity Wealth Management
&
MD of C.P.H.D. Pharmaceuticals.