বিএনপি ও দলটির সঙ্গে যুগপতে যুক্ত জোট ও দলের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, যুগপৎ কর্মসূচি দেওয়ার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। এই প্রস্তাবনায় “দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি”, “রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দুর্নীতি”, “ভারতের সঙ্গে করা সমঝোতা-স্মারক” ও “বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির ইস্যু”গুলো উঠে এসেছে। বৈঠকে বিএনপির প্রস্তাবনা তুলে ধরে মতামত চাওয়া হবে এবং এর ভিত্তিতে আগামী দিনের কর্মসূচির জন্য পরামর্শ চাইবে দলটি।
সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় জোর দেবে গণতন্ত্র মঞ্চ
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লিয়াজোঁ কমিটির আসন্ন বৈঠকে তারা বিগত আন্দোলনে সাফল্য-ব্যর্থতার প্রশ্নটি তুলবেন। আন্দোলনের রিভিউ না করে “সাংগঠনিক বিচার-আচার” করলেও রাজনৈতিকভাবে কোনও মূল্যায়ন করেনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের সঙ্গে আলাপে উল্লেখ করেন, “মঞ্চের সিনিয়র একাধিক নেতা আন্দোলনের বিষয়ে পর্যালোচনার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। বিশেষ করে ১২ জুলাই এক দফা দাবির পর ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখ অবরোধ কর্মসূচির পর থেকে মৌলিকভাবে যুগপৎ আন্দোলনের শক্তি হারিয়ে যায়। এর রেসপন্সিবিলিটি হচ্ছে আন্দোলনের মেকারদের, যাদের পদ থেকে ওঠানামা করানো হয়েছে, সেখানে তাদের অবদান স্বল্প। সেক্ষেত্রে পলিসি মেকারদের দায়িত্ব নিতে হবে!”