২৫৪
শামীম রেজা
একইসঙ্গে কবি,
খ্যাতনামা সম্পাদক, কথাসাহিত্যিক,
প্রাবন্ধিক ও শিক্ষাবিদ।
শামীম রেজার জন্ম ৮ মার্চ ১৯৭১,
জন্মস্থান মামাবাড়ি, জয়খালী গ্রাম, কাঠালিয়া, ঝালকাঠী।
পিতৃনিবাস সাউদপুর, রাজাপুর, ঝালকাঠী।
শিক্ষাজীবনের শুরু সাউদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
রাজাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক ও কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে
পড়াশুনা শেষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর তিনি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
‘নিম্নবর্গের মানুষ: বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলার কবিতা— তুলনামূলক আলোচনা’
শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে যোগদান করেন।
পরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন
‘বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট’
বর্তমানে এর পরিচালক তিনি।
দীর্ঘদিন আজকের কাগজ-এর সাহিত্য সাময়িকী ‘সুবর্ণরেখা’
ও
ফিচার সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন
এবং
কাগজ প্রকাশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী
ঢাকা কলেজ-এর বাংলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন।
শামীম রেজা কবিতার পাশাপাশি প্রবন্ধ,
ছোটগল্প, উপন্যাস ও মঞ্চ নাটক লিখেছেন।
তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ
“পাথরচিত্রে নদীকথা” (২০০১),
দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ
“নালন্দা দূরবিশ্বের মেয়ে” (২০০৪),
“যখন রাত্তির নাইমা আসে সুবর্ণনগরে” (২০০৬) লোক-নালন্দা প্রকাশনা বাংলাদেশ
এবং
কৃত্তিবাস প্রকাশনা কলকাতা থেকে পুনর্মুদন (২০০৭)
ও
“ব্রহ্মাণ্ডের ইসকুল” (২০০৯) প্রকাশিত হয়।
এছাড়া উপন্যাস ভারতবর্ষ প্রকাশের আগেই বহু বড় লেখকের কারণে আলোচনার্হ ।
শিবনারায়ণ রায়ের সঙ্গে যৌথ সম্পাদনা আফ্রিকার সাহিত্য সংগ্রহ-এক ও দুই।
শামীম রেজার শ্রেষ্ঠ কবিতা প্রকাশ করেছে এবার ভারতের প্রকাশনা, দেজ।
‘যখন রাত্তির নাইমা আসে সুবর্ণনগরে’
কাব্যগ্রন্থের জন্য ২০০৭ সালে তিনি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় প্রবর্তিত ‘কৃত্তিবাস’ পুরস্কার লাভ করেছেন।
এছাড়া পেয়েছেন খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার, বিনয় মজুমদার সম্মাননা
ও
বগুড়া লেখকচক্র পুরস্কার।
কিন্তু
‘গ্রামের ফকির ভিখ পায়না’
টাইপ!!
এই অভাগার দেশে এমন কবির মুল্যায়নই নাই!
আর কতো “সিনিয়র কবি”
হলে
বাংলা একাডেমি পুরষ্কার পাবেন
কবি শামীম রেজা!?
অথচ তার কবিতাগুলো শুন্যদশকের
কবিদের জন্য পাঠ্য!