১৩৬
“মৃ-ময় মহামায়ার ক্রিয়া!”
পাহাড়ি মেয়েদের সাথে “সেক্স” মানে
“কামাসুত্র মিথলজি”র চৌদ্দ কাঠি উপরে!
ঐতিহাসিক ভাবে তারা “যৌন বিদ্যা” শিখেছে
তাদের পূর্ব পুরুষদের সাথে!
সহসা এই “বাতেন সুরাতের” “সবক” দেন না!
তবে, “যোগী” আর “নেক নজর প্রাপ্ত মুরিদানের” কাছে কিতাব খোলেন
“আখেরি মকতুবাতের” মতো!
কোনো এক বিশেষ কারণে “মৃ” আমাকে
তাদের একজন মনে করায় রাত দ্বি- প্রহরে
নিয়ে গেলেন তাদের আস্রম বা আখড়াই!
ভরা পূর্নীমায় ওদের উৎসব।
যেন সর্গীয় কোনো যগ্গো চলছে!
নগ্ন নারী-পুরুষের মিলন চলছে অন্তত কাল থেকে!
আদিম আর্যগণ উপাস্যদেবকে সন্তুষ্ট করছে
তাদের জান-প্রাণ উজাড় করে!
লন্ঠনের আলোয় যতোটা সম্ভব দেখা যায় যা।
“পর্ন সাইট” গুলোতে যা দেখতাম অনেকটা সেরকম ভাবে এই
“মহামায়ার ক্রিয়া” চলছে তো চলছেই।
দুইটা জিনিস লখ্য করলাম ষোড়শী মেয়েদের কোমরে জোড়া পাতা
( কি পাতা তা আজও জানিনা!
এই রহস্য শুধুমাত্র গুরু মাতার পরম্পরায়
“এলমে বাতেনি” সিসিলিয়ায় বেলায়েতে যুগের মতো!)
আর,
পুরুষদের চোখ লাল কাপড়ে বাধা।
কে-কখন-কার সাথে যৌন মিলন করছে তা বোঝা যায় না।
চেন্জ হচ্ছে এক এক স্টাইলের পর এক এক জনের সাথে!
মৃ- আমাকে মাটির পাত্রে পানি জাতীয় এক প্রকার “সারাবান তহুরা” পান করালেন।
“অমৃত সূধা” সম্পর্কে আমার ধারণা না থাকায় আপাতত এটাই ধরে নিলাম।
মধু- দুধ ও পানির মিস্রন বা হাজার ফলের
নির্জাসের ওয়াইন টাইপও হতে পারে!
তারপর আমার আর সেন্স নাই!
নির্দিষ্ট এক কোনে মৃ-আমাকে কাপড় খুলে
শত ফুলে ভেজানো পানির ফোয়ারা আর
“শিব লিঙ্গ” স্নানের মতো মৈথুন পূর্ব
এমন এক “তৈল মর্দন” করলো যা আমার শরীরের
“তেত্রিশকোটি লতিফা” নেচে উঠে শুরু হলো
মধুর মিলন!
কতো কাল বা কতোখোন ছিলো তা আমার
মনে নাই!
যখন হুঁশ এলো তখন আমি
সমুদ্র পাড়ে সূর্য পুবাকাশে চুম্বনে লিপ্ত।
আমাকে ঘিরে হাজারো মানুষ কিন্তু মৃ- নেই!
আমি সেই “মৃ-ময়” ধ্যানেই বিস্মৃতপ্রায় ভ্রূনাবস্থার
জন্মকালীন শিশুমৃত্যু নারীদের মধ্যে নিমজ্জিত।
এম্বুলেন্সে আমাকে নেয়া হলো সদর হাসপাতালে।
হোটেল স্টাফ জানালেন আমি
এক সপ্তাহ নিখোজের পর উদ্ধার করা হয়েছে।
গত রাতের শেষ প্রহরের মধ্যভাগের দীর্ঘশ্বাসকে বলা হলো একসপ্তাহ!
নাকি এক মাস বা এক কোটি বছর তা আমারও জানা নাই!
আমাকে নিয়ে যে নৃত্য চলছিলো পরীদের মাঝে তা আমার বুঝতে বাকি নেই।
মৃ-র প্রতি কৃতজ্ঞতা হতে পারে জিন্দা
এই ধরাধামে ফিরে আসতে পেরেছি এই ভেবে।
তবে মৃ’র চেহারা মুছে যেতে আমার কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগবে!
2 b continued..
by
Raju Ahmed Boni
chief editor
virtualjournalbd.com